
সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::
পবিত্র রমযান মাসকে পুঁিজ করে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও জমে উঠেছে মুড়ির জমজমাট বাজার। উখিয়া উপজেলার এক শ্রেণীর মৌসুমী ব্যবসায়ী এসব মুড়ি হাটবাজারে অবাধে বিক্রি করলেও তা কতটুকু গুণগত মান সম্পন্ন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইফতারের অন্যতম চাহিদাপণ্য হিসাবে মুড়ির আলাদা কদর থাকায় এসব মুড়ি জনস্বাস্থ্যের পক্ষে হুমকি কিনা তা নিয়ে ও কেউ কোন দিন যাচাই-বাছাই করেনি। স্বাস্থ্য প্রশাসনের মতে, চট্টগ্রাম থেকে সরবরাহকৃত অধিকাংশ মুড়ি তৈরী হয় ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
উখিয়া সদর দারোগা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরুতেই অলিতে-গলিতে, ফুটপাতে অসংখ্য মুড়ি বিক্রেতা। তারা জানান, স্থানীয় পাইকারী আড়ত থেকে সংগ্রহকৃত এসব মুড়ি খুচরা ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। মুড়িতে ভেজাল আছে-কিনা জানতে চাওয়া হলে মুড়ি বিক্রেতা শামসুল আলম জানান, এ ব্যাপারে তাদের জানা নেই। পাইকারী মুড়ি আড়তদার সিরাজ সওদাগর জানান, চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্টানে এসব মুড়ি তৈরী করা হয়। সিরাজ সওদাগর ছাড়াও পাইকারী মুড়ি বিত্রেুতাদের মধ্যে রয়েছে প্রদীপ সেন,রতন বিশ^াস সহ গুটিকয়েক বিত্রেুতা। এসব পাইকারী বিত্রেুতারা চট্রগ্রাম থেকে মুড়ি এনে খুচরা বাজারে বিত্রিু করছে। তাদের মতে,চট্রগামে স্থানীয় প্রশাসন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মুড়ি তৈরীর ছাড়পত্র দিয়েছে বিধায় ঐসব মুড়ি খোলামেলা ভাবে বাজারজাত হচ্ছে।তাই তাদের সরবরাহকৃত মুড়িতে ভেজাল নেই। স্থানীয় ডাক্তার এনামুল হকের মতে, মুড়ি ধবধবে সাদা করতে ক্ষতিকর উপাদান মিশ্রিত করা হয়। যা খেলে তাৎক্ষণিক ভাবে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢালাও ভাবে মুড়ি বাজারজাত করণের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীণ সময়ে ঐসব মুড়ির গুণগতমান যাচাই করা হবে। ভেজাল মুড়ি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, রমযান মাসে কোন প্রকার ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করতে দেওয়া হবেনা।
পাঠকের মতামত